প্রশংসায় পঞ্চমুখ জনবান্ধব ইউএনও শুভাশিস ঘোষ

রকিবুল হাসান রকি :

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ। সদর দক্ষিণ উপজেলায় যোগদানের পর কর্মের মাধ্যমে দলমত নির্বিশেষে সবার মনে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে সকল মহলে প্রশংসায় পঞ্চমুখ জনবান্ধন ইউএনও শুভাশিস ঘোষ।

শিক্ষা ও সংস্কৃতির উপজেলা হিসেবে পরিচিত কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা ছোট হলেও জেলার মধ্যে খুবই গুরুত্ব বহন করে এই উপজেলাটি। এ উপজেলার উত্তরে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা,পশ্চিমে বরুড়া উপজেলা, দক্ষিণে লালমাই উপজেলা ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা এবং পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ অবস্থিত। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার মূল প্রশাসনিক ভবনটি পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে ২ কিলোমিটার পূর্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত।

২০১১ সালের আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ৯টি ওয়ার্ড এবং ৭টি ইউনিয়নের আয়তন ১৪৫.১ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২,৫৮,২৭৮ জন। কুমিল্লা ইপিজেড,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাডেট কলেজ, সরকারী পলিটেকনিক্যাল কলেজ, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড), লালমাই পাহাড়ের মত গুরুত্বপূর্ণ স্থান এই উপজেলায়।

বর্তমান বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এমপির বাড়িও বৃহত্তর সদর দক্ষিণ উপজেলায়।

ইউএনও শুভাশিস ঘোষ কুমিল্লাএসডিনিউজ কে জানান, মানব সেবাই পরম ধর্ম, পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মেই মানব সেবার কথা বলা আছে। অনেকের মতে মানব সেবার মাঝেই সৃষ্টিকর্তার আনুকূল্য পাওয়া যায়। চাইলে অনেক ভাবেই মানুষের সেবা করা যায়। আমি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। সরকার আমাকে যতটুকু দায়িত্ব দিয়েছেন আমি শুধু ততটুকু নিষ্ঠার সাথে পালন করার চেষ্টা করছি।

২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন শুভাশিস ঘোষ। দ্বায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই অন্যায় অনিয়মসহ যেকোন অভিযোগেই সরাসরি ছুটে যান ঘটনাস্থলে, আর সেখানেই সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। যোগদানের পর উপজেলা পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মময় পরিবেশ সৃষ্টি করেন।

লকডাউনে কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেন। সরকারী উন্নয়ন কার্যক্রমের শতভাগ তদারকিতে বাস্তবায়ন (টি আর, কাবিখা, কাবিটা) নিশ্চিত করেন, কর্মহীন ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৩৩ সেবার মাধ্যমে নিজ বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেন। উপজেলায় আগত সেবাপ্রাথীদের তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান নিশ্চিত করেন।

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ১০০ পাঠাগার স্থাপন করেন। এছাড়াও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের গৃহহীনদের মাঝে ১২৭টি ঘর সমবন্টন করেন। এর মধ্যে বারপাড়া ইউনিয়নে ৩৮টি, বিজয়পুর ইউনিয়নে ৩৩টি, চৌয়ারা ইউনিয়নে ১২টি, গলিয়ারা উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নে ৪টি, এবং জোড়কানন পূর্ব ও পশ্চিম ইউনিয়নে ৪১টি ঘর দেওয়া হয়। পরবর্তীওত উপজেলার অসহায় ১০ জন মুক্তিযোদ্ধাদেরও ঘর দেওয়া হবে।

চলমান শীতকাল শুরু থেকে প্রতিদিন রাতে অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে আসছেন। যা এখনো চলমান আছে। জোড়কানন পূর্ব ইউনিয়নের রশিদ মাষ্টার কুমিল্লাএসডিনিউজ কে জানান, আমাদের ইউনিয়নটি ভারত এবং বাংলাদেশ সিমান্ত এলাকা। এখানে প্রায় সময় ভারত থেকে মাদক আসত। ইউএনও স্যার যোগদানের পর নিয়মিত অভিযানের কারনে মাদক সেবন এবং মাদক আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এমন অভিযান পরিচালনা করার জন্য স্যারকে আমি এবং আমার গ্রামবাসিদের পক্ষ হতে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

বিভিন্ন গ্রামের অসহায় ও কর্মহীন কয়েকজনের সাথে আলাপকালে তারা কুমিল্লাএসডিনিউজ কে জানান, আমাদের সদর দক্ষিণের ইউএনও একজন ভাল মানুষ। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে গেছেন। আমরা তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!